আজব দেশের আজব কান্ড কারখানা। বর্ধমান শহরে শুধু বাস চলতে মানা। হাইকোর্ট রায় পেশ করেছে জাতীয় সড়ক বা রাজ্য সড়কে টোটো চলাচল করবে না। নবান্ন থেকে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সড়ক এবং জাতীয় সড়কের টোটো নিয়ন্ত্রণ করতে। রাজ্য সড়ক এবং জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ এই টোটো।
এই টোটোগুলিরসঠিক কোন কাগজপত্র নেই আর তাদের লাইসেন্সও নেই। যারা রোডে ট্যাক্স দেয়, লাইসেন্স নিয়ে রোডে যাতায়াত করে তাদের নিরাপত্তা নেই। আর বর্ধমান শহর পৃথিবীর এক ব্যতিক্রমী শহর যে শহরের মেন রোডে বাস চলাচল করতে পারবে না কিন্তু টোটো চলতে পারবে । পুরাতন এই জি টি রোডে লাইসেন্সবিহীন বে ওয়ারিশ নির্দ্বিধায় চলছে । যে বাসে অনেক প্যাসেঞ্জার নিয়ে সহজে যাত্রী বহন করতে পারে সেখানে অসংখ্য টোটো লাগিয়ে সেই যাত্রী গুলোকে বর্ধমান শহরে যাতায়াত করতে হয় এবং অনেক বেশি খরচা করতে হয়।
দক্ষিণ দামোদর বা অন্যান্য প্রান্তে ছাত্র-ছাত্রীদের বর্ধমান শহরে পড়াশোনা করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।এ বিষয়ে দেখার কেউ নেই। দক্ষিণ দামোদরের একটি স্টুডেন্ট মাত্র পাঁচ টাকা খরচা করে বর্ধমান শহরে যাতায়াত করতে পারত। বর্তমানে সেখানে ১০০ টাকার বেশি ছাত্র-ছাত্রীদের খরচা করতে হয়। সাধারণ ও নিম্নবিত্ত পরিবারের পক্ষে প্রতিদিন ১০০ টাকা ও তার বেশি খরচা করা অসম্ভব ব্যাপার একটা স্টুডেন্টদের উপর। কোট এবং নবান্ন নির্দেশ বর্ধমান শহরের প্রশাসন কিভাবে মান্যতা দেয় সেটাই দেখার।
বর্ধমান শহরের যন্ত্রণার আরেক নাম টোটো
By Admin
Updated On:
