বাদশা(পূর্ব বর্ধমান):-আর পাঁচটা বাচ্চাদের মতন লেখাপড়া শিখে বড় কিছু হবার স্বপ্ন দেখেছিল ছেলেটি। কিন্তু বাধসাধে তাতে মা বাবার সম্পর্ক। ফলে ক্লাস থ্রীর বেশি আর এগোয়নি পড়শুনা। যদিও পড়াশুনাটা এখন স্বপ্ন হয়ে দাড়িয়েছে বছর ১৩ আলীপ খাঁয়ের কাছে। পড়াশুনা কারাটা এখন দূরাস্ত। নিজের জন্য দুবেলা, দুমুঠো খাবার জোটাতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে তাকে। জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকতে একটি ছোট্ট চায়ের দোকান আকড়ে ধরে আছে আলীপ। কিন্তু দিনের শেষে তাতে ৫০ – ৬০ টাকারও বেচাকেনা হয়না। লাভ আর কি থাকবে। রাতে মুখগুজে ওই চায়ের দোকানে শুয়ে থাকে।
আসলে মা বাবা থেকেও নেই আলীপ খাঁ এর। খুব ছোট্ট বেলায় মা পরপুরুষের হাত ধরে চলে যায়। তারপর থেকে তিনি আর বাচ্চার খোঁজ নেয়নি। ফলে মায়ের স্নেহ, মমতা থেকে বঞ্চিত ছেলেটি। একমাত্র ভরসাছিল বাবা। নাদনঘাট থানার বগপুর পঞ্চায়েতে্র সাহাজাদপুরে একটি ছোট্ট চায়ের দোকান আছে আলীপের বাবা রসিদ খাঁয়ের। বাবা বেটা মিলে সেখানেই বাসা বেধে থাকতেন। মাস ছয়েক আগে সেই বাবাও বেইমানি করে চম্পট দেয় কেরলায়। ছেলেটির দাদু ঠাকুমা কিছুদিন খেতেটেতে দিত। কিন্তু সেটাও বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। নাতিকে খাবার দেওয়া বন্ধ করে দেয় তারা।
বর্তমানে কার্যত অসহায় ভাবে জীবন কাটাচ্ছে এই শিশুটি। গ্রামের কেউ কেউ হয়তো ২ – ১ টাকা দিয়ে সাহায্য করছেন। কিন্তু সেটাতে আর কদিন চলে। বহুদিন না খেয়েও ছেলেটিকে কাটাতে হয়। ইতিমধ্যে আলীপের এই অসহায় জীবন যাপনের বিষয়টি গ্রামবাসীদের নজরে এসেছে। বিষয়টি পঞ্চায়েত প্রধানকেও জানানো হয়।
প্রধান সাহাদুল সেখ বলেন, বিষয়টি আগে শুনিনি। শীঘ্রই ছেলেটিকে পঞ্চায়েতে ডেকে কিছু সাহায্যের বাবস্থা করবো।