বাদশা(পূর্ব বর্ধমান):-৯৬ বছর বয়সে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেলেন পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লকের নসরপুর পঞ্চায়েতের ইট খোলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা সরস্বতী ঘোষ. একই সাথে তার মেয়ে ৭৬ বছর বয়সী লতিকা সরকারও পেলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা. গত দুদিন আগে পূর্বস্থলীর সমুদ্রগড়ে নসরতপুর পারুলডাঙ্গা হাইস্কুলে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বসেছিল, আর সেই ক্যাম্পেই দাঁড়িয়েছিলেন ৯৬ বছর বয়সী সরস্বতী দেবী এবং তাঁর মেয়ে ৭৬ বছর বয়সী লতিকা সরকার. লাইনে দাঁড়িয়েই সংগ্রহ করলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।

এ দিন রবিবার ৯৬ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধা নীজের বাড়িতে বসে তিনি জানান, আমার দেখা সেরা মুখ্যমন্ত্রী দিদি, দিদি আমি একশো বছর বাঁচতে চাই. মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে হাতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি মা ও মেয়ে. স্বামী মারা যাবার পরই নসরতপুরের ইটখোলা পাড়ায় বাসিন্দা মেয়ে লতিকা সরকারের সাথেই থাকেন তাঁর ছিয়ানব্বই বছরের বৃদ্ধা মা. সরস্বতীর বয়স ৯৬ এর পেরিয়ে গেলেও এখনো লাঠি নিয়ে হেঁটে চললেই বেড়ান সরস্বতী দেবী. দারিদ্রতা তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী, আর তাই এই বয়সে মায়ের রোগভোগ হলে কিভাবে তার চিকিৎসা করাবে? এ নিয়ে প্রায়ই চিনতাই থাকতেন ৭৬ ওঁদের লতিকা সরকার, তবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তাঁদের দুজনেই হওয়ায় খুশি তারা. বর্তমানে তাদের দুই বৃদ্ধাকে দেখভাল করেন তারই বড় মেয়ের ঘরের এক নাতি অভিজিৎ মল্লিক তার কথায়, দিদিমা এবং তাঁর মায়ের বয়স হয়েছে আমাদের আর্থিক অবস্থাও সেই রকমভাবে ভালো নয়, উনি প্রায়ই বলেন আমি একশো বছর বাঁচতে চাই, প্রায়ই চিন্তা হতো অসুখ বিসুখ হলে কিভাবে চিকিৎসা করাব? স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড হাতে পাওয়াতে অনেকটাই সুবিধা হল।