নিজস্ব সংবাদদাতা, (পূর্ব বর্ধমান):-বৃহস্পতিবার ১০ই আগস্ট পঞ্চায়েত গুলির বোর্ড গঠনের পর শুক্রবার বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ সভাপতির নাম ঘোষণা হয়।
এই উপলক্ষ্যে খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের অডিটোরিয়াম হলে একটি শুভেচ্ছা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মীর সফিকুল ইসলাম, এবং সহ সভাপতি হিসাবে অঞ্জু সাঁতরা নির্বাচিত হন।
এরপরই খুশির হাওয়া এলাকা জুড়ে।
লোদনা পঞ্চায়েতের বিদায়ী বোর্ডের প্রধান অঞ্জু সাঁতরা হলেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি
এবং কৈয়ড় অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি, ছোটো গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা মীর শফিকুল ইসলাম হলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ।
শান্ত স্বভাবের ও এলাকায় কাজের মানুষ হিসাবে পরিচিত মীর সুফিকুল ইসলাম। মীর সফিকুল ২০১৩-২০২০ পর্যন্ত যুব কৈয়ড় অঞ্চল সভাপতির দায়িত্ব সামলান এবং আস্তে আস্তে পটু হয়ে ওঠে রাজনৈতিক বিদ্যায় বলাই যায়। অঞ্চল যুব সভাপতির পরেই তার কাঁধে দল দায়িত্ব দেয় অঞ্চল সভাপতির। অবলীলায় সততার সাথে ঐকবধ্য হয়ে পালন করেন অঞ্চল সভাপতির দায়িত্ব। মীর সফিকুলের কার্যক্ষমতার দক্ষতা, নিষ্ঠা, সততা তাকে পৌঁছে দেয় ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোট পঞ্চায়েত সমিতির টিকিটে ভোটের লড়াই-এ। মানুষের সমর্থনে পঞ্চায়েত ভোটে জয়লাভ করে নিজের জায়গা ধরে রাখে মীর সফিক। আবারও ভরসা রাখলো দল। দায়িত্ব দেওয়া হলো খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দায়িত্ব ভার। কৈয়ড়
অঞ্চলের ছোট গোপীনাথপুর নিবাসী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির চেয়ারে, সেই সংবাদে কৈয়ড় অঞ্চল জুড়ে উৎসবের মেজাজ ছিলো শুক্রবার।
শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতি ও সহ-সভাপতি নাম ঘোষণা এবং শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ২৯জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন, খণ্ডঘোষ বিধানসভার বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগ, ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মোহাম্মদ অপার্থিব ইসলাম, শিক্ষক নেতা তথা জেলা পরিষদের দ্বিতীয় বারের সদস্য বিশ্বনাথ রায় সহ অন্যান্য রা । নতুন দায়িত্ব পেয়ে মীর সফিকুল ইসলাম বলেন, আমাকে মানুষের কাজের জন্য যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমি যথাযত ভাবে পালন করার চেষ্টার ত্রুটি রাখবো না। দায়িত্ব পাওয়ার পরে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এর প্রতি, পাশাপাশি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলামের প্রতিও।