স্রেফ একটা গুঞ্জন। আর তা নিয়েই ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল তৃণমূলের উপদলীয় কোন্দল। অবস্থা দাঁড়াল এমনই যে, দলীয় কর্মসূচিতেই অনুপস্থিত থাকলেন তৃণমূল নেতাদের একটি গোষ্ঠীর লোকজন। বিষয়টি চোখে লেগেছে কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা দলের নিচুতলার নেতা-কর্মী-সমর্থকদের।
কোচবিহারে দলের স্বীকৃতি সম্মেলন অনুষ্ঠানেই প্রকাশ্যে এসেছে দুই তৃণমূল নেতার কাজিয়া। তৃণমূলের নিষ্ক্রিয় কর্মীদের চাঙা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের হেভিওয়েট নেতারা। এই অনুষ্ঠানেই অনুপস্থিত ছিলে জেলা পরিষদ সদস্য পরিমল বর্মণ ও তাঁর অনুগামীরা। কারণ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা কার্য নির্বাহী সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়।
কোচবিহার ২ ব্লকের রাজারহাট বিদ্যাভবন হাইস্কুলে আয়োজিত ওই সম্মেলনে পরিমল ও তাঁর অনুগামীরা অনুপস্থিত থাকায় শুরু হয় গুঞ্জন।
কী কারণে ওই সম্মেলনে অনুপস্থিত রইলেন পরিমলের অনুগামীরা? তৃণমূল সূত্রে খবর, ২০২১এর বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হতে পারে পার্থকে। টিকিটের অন্যতম দাবিদার পরিমলও।
সম্মেলনের যে ফ্লেক্স দলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে পাঠানো হয়েছে, সেখানে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ছবি রয়েছে পার্থর। এতেই জল্পনা জোরালো হয়, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পার্থই তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থী।
দলনেত্রীর পাশে পার্থর ছবি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিমলের অনুগামীরা। যদিও সংবাদ মাধ্যমের সামনে রা কাড়েননি কেউই। তবে দলনেত্রী পার্থকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় তাঁরা যে ক্ষুব্ধ, তা গোপন করেননি কেউই।
কিছুদিন আগেই জেলা সফরে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন দলীয় নেতৃত্বকে। তৃণমূল সুপ্রিমোর সেই বার্তা যে দলেরই অনেকের কানেই ঢোকেনি, কোচবিহারে এই ঘটনাই তার প্রমাণ।
এখন দেখার, পার্থকেই প্রার্থী করা হয় কিনা! হলেও তাঁর হয়ে পরিমলের অনুগামীরা কীভাবে মাঠে নামেন, তা দেখতে মুখিয়ে কোচবিহারবাসীও।