বাদশা(পূর্বস্থলী):– আবারো লটারিতে এক কোটি টাকার প্রাইজ উঠলো। শুক্রবার এক কোটি টাকার লটারি পেয়েছেন পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বোলদেডাঙার এক স্বর্ণশিল্পী সুব্রত দাস(৩২)। মাঝে মাঝেই লটারির টিকিট কাটতেন তিনি, এক এক বারে দেড় দু হাজার টাকার টিকিট পর্যন্ত কিনে ফেলতেন। বেশ কয়েকবার ছোট খাটো প্রাইজও পেয়েছিলেন। কিন্তু তার একমাত্র স্বপ্ন ছিল লটারির টিকিট কেটে কোটিপতি হবার। শুক্রবার বিকালে তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়। এদিকে সুব্রতবাবুর লটারিতে কোটি টাকার পেতে চলেছেন শুনে, খুশির জোয়ার নেমে এসেছে তার পরিবারে। দরমার বেড়া, আর টিনের চালা বাড়িতে বাস করেন তারা। সংসারে অভাব লেগেই রয়েছে। বোলদেডাঙা বাজারে সুব্রত দাসের স্বর্ণালঙ্কারের দোকান আছে। যেদিন একটু বেশি কাজ হয়, সেদিনই লটারির টিকিট কাটার নেশা পেয়ে বসে, ওই স্বর্ণশিল্পীর।
জানাগিয়েছে, শুক্রবার বেলা ৯ নাগাদ তেলেনিওপাড়া বাজারে গিয়েছিলে সুব্রত দাস। তিনি মোবাইলে পারুলিয়ার এক স্টকিষ্ট এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর হোয়াটঅ্যাপের মাধ্যমে তাকে কয়েক হাজার ডেইলি ডিয়ার টিকিট দেখানো হয়। সুব্রতবাবু তার মধ্যে ৬১ র বই থেকে ১২০০ টাকার টিকিট কিনেন। পরে সেই টিকিট তার কাছে পৌছেও যায়। বিকালে ইন্টারনেটে টিকিট মেলাতেই, তার চক্ষু চড়কগাছ হবার যোগার হয়। একেবারে উপরে নম্বরের সঙ্গে তার টিকিট নম্বর মিলে গিয়েছে।
বাড়িতে মা, বাবার সঙ্গে স্ত্রী ও শিশুকন্যা নিয়ে তাদের বাস। এদিন স্ত্রী সুপ্রিয়া দাস বলেন, ওর বরাবর লটারির টিকিট কাটার নেশা ছিল। প্রায়দিনই প্যান্টের পকেটে লটারির টিকিট দেখতাম। আমাদের অভাবের সংসারে ওর টিকিট কাটার নেশা আমার ভালো লাগতো না। তবে কোনদিন নিষেধ করেনি। এখন লটারিতে কোটি টাকা বেঁধেছে শুনে, ভালো লাগছে। এবার একটু ভালো বাড়িঘর দরকার। স্বামীর দোকানটাও বড় করতে হবে। আমাদের শিশু কন্যার ভবিষৎ এর কথাও ভাবছি।
এর আগে, গত এক বছরে পূর্বস্থলী থানার কাষ্টশালীতে এক স্কুল ছাত্র ও বারোরপাড়া্য এক জোগাড়ে এক কোটি টাকার লটারি পেয়েছেন। এবার ভাগ্য খুললো বোলদেডাঙার সুব্রত দাসের।