---Advertisement---

এলাকায় দখল রাখতে গলসিতে তৃণমূলের গোষ্ঠী দন্দে মারামারি, আহত তিন

By Web Desk

Updated On:

Follow Us
---Advertisement---

নিজস্ব সংবাদ দাতা, গলসি : বুধবার সন্ধায় গলসি ১ নং ব্লকের পারাজ অঞ্চলের করকডাল গ্রামে এলাকায় দখল রাখাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারি। ঘটানায় আহত দুইপক্ষের মোট তিনজন। রড ও লাঠি দিয়ে এক তৃণমূল কর্মীর হাত পা ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাছাড়াও আরও দুইজন মারধর করা হয়েছে বলে জানতে পারা গেছে। তাদের মধ্যে এক মহিলাও আছে। পাশাপাশি ভাংচুর চালানো হয় একটি বাড়ি ছাড়াও দুই মোটর বাইক ও একটি চারচাকা গাড়িতে।

ছবি : ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাড়ির এ্যাডভেস্টার

আহত তৃণমূল সমর্থক সেখ বদরুদ্দোজা জানান, মঙ্গলবার দিন সন্ধা নাগাদ বোলপুর মোড়ে চা এর দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন তারা তিনচারজন। ওই সময় পারাজ অঞ্চলের তৃণমূল কর্মী সেখ বাপি সহ বেশ কিছু তৃণমূল সমর্থক অতর্কিত ভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। তাকে মাটিতে ফেলে লাঠি, রড দিয়ে পেটানো হয়। এর ফলে তার দুটি পা একটি হাত ভেঙে গিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তাছাড়াও তাদের আরও এক তৃণমূল কর্মীকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে দাবী তার।  তিনি অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার তারা এলাকায় একটি পিকনিক করে খেয়েছিলেন। সেই হিংসার কারনে তাদের দুজন কর্মাকে মাররধর করা হয়েছে। তার দাবী রাজনৈতিক উদ্দ্যেশে অর্থাৎ এলাকায় দখল রাখতে তৃণমূল কর্মী বাপি ও তার দলবদ এই কাজ করেছে।

ছবি : ভাংচুর চালানো হয়েছে গাড়িতে

তবে বাপি সেখের দাবী, গ্রামে উত্তেজনা সৃষ্টি করার জন্য আগের দিন বাইরের গ্রাম থেকে লোক এনে ফিস্ট (পিকনিক) করে বদরুদ্দোজার লোকেরা। তখন থেকেই অশান্ত হয়েছিল এলাকা। তারা ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়েছে। সেই মত পুলিশ এসেছিল। তবে পুলিশ চলে যাবার পর বদরুদ্দোজার লোকেরা চা এর দোকানে কটু কথা বলে তাদের লোকদের। এরপরই বচসা থেকে মারামারি শুরু হয়। ঘটনায় বাপি গোষ্ঠীর কাদের মোল্লার বাড়িতে ভাঁংচুর চালানো হয়। তাছাড়াও হাসিনা বেগম নামে এক মহিলাকে মারধর করা হয়ছে বলে জানান সেখ বাপি। এছাড়াও তাদের দুটি মোটর সাইকেলও একটি চারচাকা গাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়েছে। ঘটনার পরই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঠিক কি কারনে ওই দন্দ তার তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানার পুলিশ। তবে গোষ্ঠী দন্দদের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের ব্লক থেকে জেলা নেতৃত্ব। তাদের দাবী গ্রাম্য ঝামেলার কারনে ওই মারামারি। এখানে কোন গোষ্ঠী দন্দের কোন প্রশ্ন নেই।

Leave a Comment