ছবি : দামদরের ভাঁঙনে গর্ভে চলে যাচ্ছে কৃষিজমি
নিজস্ব সংবাদ দাতা, গলসি : কথায় বলে নদী এক পাড় ভাঁঙে এক পাড় গড়ে। তবে যে পাড় গড়ে তারা পায় উর্বর মাটি। যেখানে এক রকম সোনা ফলানো যায়। আর যে পাড় ভাঁঙে তারা সর্বহারা হয়ে যায়। এমনকি নিত্য দুস্চিন্তা পিছু ছাড়েনা সেখানকার মানুষদের। তেমনই চিন্তায় পরেছেন করছেন গলসি দুনম্বর ব্লকের ভুঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীমোহনপুর গ্রামের হাজার দুয়েক মানুষ। আস্তে আস্তে দামদর নদের ক্ষয়ে তাদের কৃষি জমি বিলীন হতে চলেছে। ফলে মাথায় হাত পড়েছে এলাকার বেশ কিছু চাষীরের। ভাঁঙতে ভাঁঙতে ভবিষ্যতে একদিন ভিটে মাটিও হারিয়ে ফেলবেন এমন ভয়ে রয়েছেন গ্রামের অধিকাংশ মানুষ। স্থানীয় চাষী শ্যামল রায় বলেন, ইতিমধ্যেই দামোদরে নদের তলায় তার কয়েক বিঘা জমি চলে গেছে। বর্ষায় জল বাড়ায় প্রতিদিন একটু একটু করে খেয়ে চলেছে। আর দু তিনশো ফুট গেলেই গ্রামের ঘরবাড়ি ভাঁঙতে শুরু করবে। তিনি বলেন, কালীমোহনপুর মানা খুবই উর্বর এলাকা। তাদের এলাকায় বেশির ভাগই কৃষিজীবী মানুষের বাস। এখানে বাদাম, পটল, আলু, শশা তরমুজ, সহ যাবতীয় চাষ করেন তাদের চাষীরা। যা দিয়ে স্থানীয় গলসি ও বর্ধমান বাজারের দৈনিক চাহিদার যোগান দিয়ে থাকেন। তবে কয়েকবছর ধরে এলাকায় এক কিলমিটার জুড়ে দামোদরের ভাঁঙন শুরু হওয়ায় তাদের ১৫-২০ বিঘা চাষের জমি দামদরে তলায় চলে গেছে। এর ফলে তারা পরিবার নিয়ে আতঙ্কে বসাবস করছেন।

ছবি : দামদরের ভাঁঙনে গর্ভে চলে যাচ্ছে কৃষিজমি
আনন্দ মন্ডল রাজু মন্ডল নামে চাষীরা বলেন, তারা সবাই দরিদ্র কৃষিজীবী মানুষ। বর্তমানে দামদরে তাদের গ্রামের বেশ কিছু চাষীদের জমি চলে গেছে। তাছাড়া সেচ দপ্তরের বহু জমিও দামদরে তলিয়ে গেছে। গ্রামের পক্ষ থেকে গতবছর বিডিও অফিসে জানিয়েছেন। এবারও স্থানীয় ভুঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে জানিয়েছেন। তবে এখনও প্রযন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবিষয়ে ভূঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এর উপপ্রধান সুবোধ ঘোষ বলেন, আমি কয়েকদিন আগে ওই এলাকা ঘুরে দেখেছি। চাষীদের সাথে কথাও বলেছি। ওখানে ভাঁঙন রুখতে দামদরের ধারটি বোল্ডার দিয়ে বাঁধায় করতে হবে। না হলে গ্রামবাসীরা আরও ক্ষতির মুখে পরবেন। তাছাড়াও সেচ দপ্তরকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারাও এলাকায় এসে পরিদর্শন করে গেছেন। তারপর সকলে মিলিত ভাবে বিডিও অফিসে একপ্রস্থ আলোচনা করেছি। খুব শীঘ্রই দামোদরের বাঁধটি বোল্ডার দিয়ে বাঁধার ব্যবস্থা করা হবে।