বাদশা(পূর্ব বর্ধমান):-আর পাঁচটা বাচ্চাদের মতন লেখাপড়া শিখে বড় কিছু হবার স্বপ্ন দেখেছিল ছেলেটি। কিন্তু বাধসাধে তাতে মা বাবার সম্পর্ক। ফলে ক্লাস থ্রীর বেশি আর এগোয়নি পড়শুনা। যদিও পড়াশুনাটা এখন স্বপ্ন হয়ে দাড়িয়েছে বছর ১৩ আলীপ খাঁয়ের কাছে। পড়াশুনা কারাটা এখন দূরাস্ত। নিজের জন্য দুবেলা, দুমুঠো খাবার জোটাতেই হিমসিম খেতে হচ্ছিল তাকে। জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকতে একটি ছোট্ট চায়ের দোকান আকড়ে ধরে ছিল আলীপ। কিন্তু দিনের শেষে তাতে ৫০ – ৬০ টাকারও বেচাকেনা হয়না। লাভ আর কি থাকবে। রাতে মুখগুজে ওই চায়ের দোকানে শুয়ে থাকতে হতো।
এই ঘটনা জীবন সংগ্রামের কাহিনি ডিডিএন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসেছিলেন প্রশাসন ।ইতিমধ্যেই পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের BDO সহ বেশ কিছু আধিকারিকর ও বগপুরগ্রাম পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় আজ বর্ধমান কোটেজ হোম পাঠানো হলো।