---Advertisement---

এলাকায় পরীক্ষামুলক ভাবে দুয়ারে রেশন পৌছে দিলেন গলসির বিডিও সঞ্জীব সেন

By Web Desk

Updated On:

Follow Us
---Advertisement---

এলাকার ছয়টি অঞ্চলে ঘুরে পরীক্ষামুলক ভাবে দুয়ারে রেশন পৌছে দিলেন গলসির বিডি

 

 আজিজুর রহমান : গলসি নিউজ ডেস্ক : গলসি ২ নং ব্লকের নয়টি অঞ্চলের ছয়টি অঞ্চলে ঘুরে পরীক্ষা মুলক ভাবে দুয়ারে রেশন পৌছে দিলেন গলসির বিডিও। তবে শুরুতে সারুল গ্রামের হাজরা পাড়ায় পরীক্ষা মুলক ভাবে দুয়ারে রেশন এর সুচনা করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন, বিডিও সঞ্জীব সেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাসুদেব চৌধুরী, ব্লক খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক দীবেন্দু তরফদার। পাশাপাশি ব্লকের নয়টি অঞ্চলে জুড়ে ওই কাজের সুচনা করেন ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক। ব্লকের ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে তিনি ওই প্রকল্পের সুচনা করেন। এলাকাবাসী প্রনব বাগ আশিষ ভট্টাচার্য, করুন পান বলেন, রাজ্য সরকারের এই কাজে বেশ লাভবান হবেন তারা। এবার থেকে মানু‌ষের দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌছে দেবেন রেশন ডিলাররা। এতে কিছুটা হলেও ভাড়ার সাশ্রয় হবে। আগে রেশন পেলে টোটো বা ভ্যানে করে আনতে হত। এখন বাড়ির কাছে পাড়াতে পেয়ে যাবো। তাছাড়া নায্য পাওনা বুঝে নিতে পারবো।

গৃহবধু রিয়া পাল হাজরা বলেন, আমার স্বামী বাইরে কাজ করেন। আমি বাড়িতে রান্নার কাজের সাথে সাথে বাচ্চার দেখাশোনা করি। বাড়িতে বাবা আছেন তবে তিনি একটু অসুস্থ। অনেক সময় রেশন আনার সমস্যা হত। তবে কষ্ট করে রেশন আনতে হত। এবার থেকে আর রেশন আনতে রেশন ডিলারের বাড়ি যেতে হবেনা। বাড়িতে বসেই পেয়ে যাবো কিম্বা পাড়াতে পেয়ে যাবো। এতে আমাকে অন্যের উপর আর ভরসা করতে হবে না।

গলসি ২ নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সঞ্জীব সেন বলেন, দুয়ারে রেশন রাজ্য সরকারের একটি ভালো উদ্দ্যোগ। গনবন্টনের ওই কাজে ডিলাররা সপ্তাহে দুইদিন তাদের নিজেদের কাউন্টারে রেশন দেবেন। বাকি দিন তারা বায়োমেট্রিক ড্রাইভ নিয়ে পাড়ায় গিয়ে রেশন পৌছে দেবেন। এতে সাধারণ মানুষের হয়রানি অনেক হবে। গ্রাম বাংলার মা বোনদের সকাল থেকে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এতে সাধারন মানুষের ভোগান্তি কম হবে। সঞ্জীব বাবু আরও বলেন, ডিলার একটি পাড়াতে সেই পাড়ার সমগ্র রেশন নিয়ে চলে গেলে একটা ভাড়ায় সকলের রেশন চলে যাবে। এতে উপভোক্তাদের পৃথক পৃথক ভাবে যে খরচ হচ্ছিল সেটা বন্ধ হবে। ফলে বেশ কিছু পরিবারের খরচ কম হবে।

Leave a Comment