---Advertisement---

শিক্ষার মর্যাদা দিলেন রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী করলেন কি!

By Admin

Published On:

Follow Us
---Advertisement---
সংবিধান দিবসে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল কাজিয়া দৃষ্টান্ত হয়ে রইল বই কি! সংবিধান দিবস (Constitution Day) উপলক্ষে রাজভবনে আয়োজন করা হয়েছিল একটি অনুষ্ঠানের। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee) ।স্বাভাবিকভাবেই সেই অনুষ্ঠানে হাজির হননি মুখ্যমন্ত্রী।
এর পর এদিন সন্ধ্যায়ই পৃথক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বিধানসভায় (Bidhansabha) । রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি গেলেও মুখ্যমন্ত্রী যে তাঁকে সচেতনভাবেই এড়িয়ে গেলেন, বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে তা নজর এড়ায়নি রাজ্যবাসীর। এর পর মর্যাদার সঙ্গেই পালিত হল দিনটি। প্রথমে ভাষণ দিয়ে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল। ভাষণে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
রাজ্যপাল চলে যাওয়ার পরে পরেই বক্তৃতা দিতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে একটি চটুল হিন্দি গানের একটি কলি উচ্চারণ করেন… তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত…।
অবাক করা কাণ্ড! বিধানসভার মতো একটি পবিত্র জায়গায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী কিনা উচ্চারণ করলেন চটুল হিন্দি গানের কলি! অন্যায়টা দু দিক থেকে। এক, সংবিধান দিবসের মতো পবিত্র একটি দিনে বিধানসভায় এই কলি উচ্চারণ করা। আর দুই, রাজ্যপালের মতো একজন সাংবিধানিক প্রধানকে সংবিধান দিবসের মতো একটি দিনে এভাবে অপমান করা!
মুখ্যমন্ত্রীর মুখনিঃসৃত বাণী ফলাও করে ছাপা হয়েছে বিভিন্ন সংবাদপত্রে। সেরকমই একটি সংবাদপত্রের মধ্যে থেকে একটির ছবি পোস্ট করে জবাব দিলেন ধনকড়ও। তবে তাতে শালীনতার সীমা ছাড়াননি তিনি। ছবি দিয়ে তিনি কেবল লিখলেন, আমি এ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করব না। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর পদের যে গরিমা রয়েছে তা মাথায় রেখে কোনও মন্তব্য করার থেকে সংযত থাকব।
এখানেই দুজনের পার্থক্য স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যপাল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যপাল যে উচ্চ শিক্ষিত, তা জলের মতো স্পষ্ট তাঁর প্রতিক্রিয়ায়। আর মুখ্যমন্ত্রী যে মেঠো রাজনীতির অভ্যেসটা ছাড়তে পারেননি, বিধানসভাটা যে কোনও একটি অর্ধশিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিতের তল্লাট নয়, কিছুক্ষণের জন্য সেটা বোধহয় ভুলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী! সেই কারণেই তিনি ব্যবহার করেছেন ওই চটুল গানের ততোধিক চটুল গানের কলিটি।
এতে হয়তো ধনকড়ের ওপর জমে থাকা ক্ষোভের গনগনে আঁচ কিছুটা স্তিমিত হয়েছে।তবে সেই ক্ষোভ ওগরাতে গিয়ে তিনি যা করলেন, বিধানসভার গরিমায় তা যে কালির ছিটে লাগিয়ে দিল, তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Comment