---Advertisement---

কি লজ্জা! কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে তার মাথার অপর জুতোর বিজ্ঞাপন

By Admin

Published On:

Follow Us
---Advertisement---

দুর্গাপুর (পশ্চিম বর্ধমান):-আজ ২২ শ্রাবন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০ তম প্রয়াণ দিবস। অলিতে গলিতে, পাড়ার বিভিন্ন ক্লাবে ক্লাবে কবি গুরুর প্রয়াণ দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। তবে সত্যি কথা বলতে কী তাঁর প্রতি এই শ্রদ্ধা সম্মান কি সর্বত্রই বিরাজমান?

সত্যিই কি তাঁর আসন এতটাই আবেগ মথিত চির অমলিন? দিনে দিনে তিনি যে ক্রমশঃ বাঙালি জীবনে ‘ঠাকুর’ হয়ে উঠেছেন একথা আজ আর অস্বীকার করার উপায় নেই। তিনি পূজিত হন বেশী , পঠিত হন কম। আমাদের প্রজন্ম সেভাবেই দেখতে, বুঝতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।

তাই এহেন ঠাকুরের মাথায় জুতো চাপিয়ে দিতে পারি কি? শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টারের বুকে রবীন্দ্রনাথের মূর্তির মাথার উপর তাঁর মূর্তির দ্বিগুণ মাপের একটি জুতো চাপিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।

ADDA, Corporation, SBSTC কর্তৃপক্ষ সবার চোখের সামনে এমন একটি দৃশ্য জ্বল জ্বল করছে।

মূর্তির পাশে একটি ফাস্ট ফুডের দোকান রবীন্দ্রনাথের মাথার উপর প্লাস্টিকের চাদর চাপিয়ে চেয়ার পেতে ব্যবসা করছেন। (যদিও সেই চাদর প্রতিবাদের পর সরে গেছে)। কিন্তু দোকানটি বহাল তবিয়তে ব্যবসা করছে এবং যথারীতি রবি পদতল এঁটো আবর্জনায় ভর্তি।

কিছু মানুষের অভিযোগ কর্তৃপক্ষ যাঁরা এই এলাকার দায়িত্বে রয়েছেন তাঁদের সকলের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। আমাদের দেশের নিয়ম অনুযায়ী বেনিয়ম ভাঙার কাজটা শ্লথের গতির থেকেও শ্লথ। এখানেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। আবেদন করার দিন ওই চত্বরে গিয়ে দেখেছি তখনও জুতো ঝোলে নি। দুদিনের মধ্যে বিশ্বকবির মাথায় জুতো চেপেছে। কেউ দেখে নি। কেউ জানে না। হোর্ডিং কমিটির নজরে নেই। ওই ফাস্ট ফুডের মালিক রবীন্দ্রনাথকে বোধ করি চেনেন না। ওই জুতোর বিজ্ঞাপনের কোম্পানি রবীন্দ্রনাথকে হয়তো কাকতাড়ুয়া ভেবে থাকতে পারেন।

কিন্তু প্রশাসক যাঁরা তাঁদের আয়োজনে আজও শহরের কোথাও না কোথাও রবি ঠাকুরের গলায় মালা চড়ছে। পাজামা পাঞ্জাবী, শাড়ি চুড়ি মালা পড়ে গানে কবিতায় রবি পুজো হচ্ছে। বক্তৃতা হচ্ছে। ধূপের গন্ধে ম ম করছে দিক দিগন্ত।

অথচ তাদেরই নাকের ডগায় বিশ্বকবি মাথায় জুতো বইছেন। এ বড় লজ্জার। বাঙালির লজ্জা। ভারতবাসীর লজ্জা। এই লজ্জা নগর প্রশাসনের

Leave a Comment